বর ও কনের সাজ এবং শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি

মানুষের জীবনের নানা অধ্যায়ের মধ্যে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটা জীবনকে করে সুন্দর। কিন্তু এই সুন্দর সম্ভাবনাময় জীবনগুলো আরও সুন্দরতর হয়ে উঠতে পারে যদি নবদম্পতি শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ থাকেন। বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ে উভয়ের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতিটাও থাকা চাই। জেনে নিন বিয়ের পূর্ব প্রস্তুতি।

বিয়ের পূর্বপ্রস্তুতি
♦ বিয়ে জীবনের লম্বা অধ্যায়। তাই বিয়ের পূর্বে একে অন্যকে ভালোভাবে জেনে ও বুঝে নিতে হবে।
♦ প্রতিটি পরিবারের আলাদা নিয়মকানুন, আচার-ব্যবহার। এসব ক্ষেত্রে দুজনকেই সহযোগিতাপরায়ণ হতে হবে।
♦ লাভ বা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ উভয় ক্ষেত্রেই ছেলে-মেয়েকে সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। দুজনকেই পরস্পরের পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলার মানসিকতা থাকতে হবে।
♦ বিয়ে মানেই বিরাট অর্থের প্রয়োজন এমনটা নয়। আপনি যতটা আয় করছেন, তার মধ্যেই যদি নিজে সন্তুষ্ট থাকেন তাহলে সঙ্গীকে সুখী করাও অবাস্তব হবে না।
♦ সঙ্গীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হলেই নিজের স্বাধীনতা কমে যায়, এমন ধারণাও ভুল। আপনি যখন আপনার সঙ্গীর ভুল-ত্রুটিসহ মেনে নিয়েছেন, তখন তার সমস্যাগুলোর সমাধান করার দায়িত্বটাও আপনার। তাই সংসার নিয়ে হতাশামুক্ত থাকুন, নিজেদের মানিয়ে নিতে চেষ্টা করুন।



শারীরিক প্রস্তুতি
বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর শারীরিক প্রস্তুতিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিয়ের আগে উভয়ের বয়স বেশি না কম, শারীরিক উচ্চতা, ওজন, রক্তচাপ ইত্যাদি পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়। আবার মেয়েদের ক্ষেত্রে শারীরিক সমস্যা, হেপাটাইটিসসহ সব টিকা দেওয়া আছে কি না এসব বিষয়েও জানা যায়। এ ছাড়া তাদের কেউ ধূমপান বা অন্য কোনো নেশায় আসক্ত কি না সে বিষয়েও নিশ্চিত ধারণা পাওয়া যায়। তাই বিয়ে করার আগে ছেলে-মেয়ে উভয়কে লজ্জা পরিহার করে সুখী জীবনের উদ্দেশ্যে মেডিকেল চেকআপ করানো উচিত।

আরেকটি বিষয় মনে রাখলেই নয়, বিয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু বয়সটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে বেশি বয়সে বিয়ে হলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্ব হতে পারে। আবার মেয়েদের বেশি বয়সে বিয়ে হলে সন্তান শারীরিক-মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়াসহ জš§গত ত্রুটি নিয়ে জš§ নিতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়েদের ৩০ বছরের পর প্রথম বাচ্চা নেওয়াটা খুবই ঝুঁকির কারণ হয়ে যায়। তবে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হলেও বেশ কিছু স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকে যায়। অল্প বয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ খুব ঝুঁকির ব্যাপার। তাই বিয়ের জন্য ছেলে-মেয়ে উভয়ের বয়স বিবেচনা করাটা খুব জরুরি।



আমাদের শরীরে বংশগত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে থ্যালাসেমিয়া, মাসকুলার ডিসট্রফি (মাংসপেশিতে এক ধরনের দুর্বলতা), নার্ভের বিশেষ কয়েকটি অসুখ, অ্যাপিলেটিক ডিজঅর্ডার (মৃগী রোগ), মানসিক অসুস্থতা যেমন সিজোফ্রেনিয়া, ডিপ্রেশন, সিস্টিক ফাইব্রোসিস, বিশেষ কয়েক ধরনের ক্যান্সার, যেমন ব্রেস্ট ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (উচ্চ রক্তচাপ ও স্ট্রোক), ডায়াবেটিস, অস্টিওপোরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ওবেসিটি, অ্যাজমা, গ্লুকোমা ইত্যাদি। এসব রোগের যাবতীয় পরীক্ষা বিয়ের আগেই করে নেওয়া উচিত। এর যে কোনো রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করে নেওয়া ভালো। তা ছাড়া শারীরিক আরও সমস্যা থাকতে পারে। sexually transmitted disease রোগ এসবের চিকিৎসা বিয়ের আগেই করে নেওয়া প্রয়োজন। তাই বিয়ের আগে সুস্থ থাকার জন্য যা যা প্রয়োজন তা সবারই করা দরকার।



বিয়ের আগে এক্সারসাইজ
শুরুতেই খুব বেশি আর খুব কঠিন এক্সারসাইজে যাবেন না। গায়ে ব্যথা ছাড়াও ছোটখাটো চোট-আঘাতও আসতে পারে। তাই অল্প অল্প করে এক্সারসাইজের সময় আর তীব্রতা বাড়ান। পুরুষ কিংবা মহিলা, শুরু করতে পারেন বডি ওয়েট এক্সারসাইজ দিয়ে। স্কোয়াট, লাঞ্জেস, পুশ আপ, হরাইজন্টাল পুল আপ এসব এক্সারসাইজ কৌশল শিখে নিন। দুই সপ্তাহ আগে থেকেই নিয়ম মেনে জোরে হাঁটুন বা দৌড়ান।

বিয়ের জন্য আপনি প্রস্তুত কি না! সুন্দর এক জীবনের জন্য একটু তো ভাবতে হবেই!


বিয়ের আগে ছেলেদের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি:
বিয়ের সময় যত সামনে আসতে থাকে ব্যস্ততা তত বাড়তে থাকে। আর তাতে অনেকসময় ঠিকভাবে প্রস্তুতি নেয়া হয় না। নানা কাজের চাপে শেষমেশ দেখা যায় নিজের প্রতিই আর নজর দেওয়া হয়নি। বিয়ে মানুষের জীবনে একটি অতি আকাঙ্ক্ষিত সময়। যাকে মানুষ চায় তার জীবন ফ্রেমে বন্দি করে রাখতে। নতুন-পুরাতন স্মৃতির ভাঁজে বিয়ের মধুর স্মৃতিকে ধরে রাখতে। বিয়ের আগে তাই চাই কিছু প্রুস্তুতি। অনেকে মনে করেন বিয়েতে কেবল মেয়েদেরই প্রস্তুতির প্রয়োজন আছে। কিন্তু ব্যাপারটা তেমন নয়, ছেলেদেরও রয়েছে সমানভাবে প্রস্তুতির প্রয়োজন।



ত্বকের যত্ন
বিয়ের আগে ছেলেদের ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। স্বাভাবিকভাবেই ছেলেদের ত্বক কিছুটা রুক্ষ হয়ে থাকে। তাই বিয়ের আগে সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার স্ক্রাব করুন। এখন বাজারেই অনেক স্ক্রাব পাওয়া যায়। বিশেষ করে গ্লিসারিন, সাইট্রিক এসিড, এগুলো ছেলেদের ত্বকের জন্য খুব ভালো। বিয়ের আগে তাই স্ক্রাব করা ভালো। এটি ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে করে মসৃণ আর উজ্জ্বল।

চুলের যত্ন
বাইরের রোদ এবং ধুলাবালিতে একটি বড় সময় কাটাতে হয় ছেলেদের। যার প্রভাব পড়ে চুলে। তাই চুল পড়া, চুলে খুশকিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। আর বিয়ের আগে সব ছেলেই চায় অন্তত এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত থাকতে। তাই চুলের যত্নে আপনি ব্যবহার করতে পারেন পেঁয়াজের রস। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এবং খুশকির সমস্যা দূর করে। চুলের রক্ষতা দূর করতে ঘরোয়া একটি প্যাক ব্যবহার করুন। ১ টেবিল চামচ মধু, লেবুর রস আর অলিভ ওয়েল মিশিয়ে তা চুলে মাখিয়ে ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল কেমন সিল্কি হয়ে গিয়েছে।

খাদ্যাভাস
খাবারের তালিকায় কিছুটা পরিবর্তন আনুন। তেল-চর্বিযুক্ত খাবার এই সময় না খাওয়াই ভালো। সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটার অভ্যাস এই ফাঁকে গড়ে তুলতে পারেন। আর এর পাশাপাশি ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। ধূমপানের অভ্যাস থাকলে চেষ্টা করুন তা পরিহার করার।

ঘুম
পর্যাপ্ত ঘুম বিয়ের আগে খুবই জরুরি, পরিবার, বন্ধু এবং আশেপাশের মানুষদের সাথে সময় দিতে দিতে দেখা যায় ঘুম ঠিক মতো হচ্ছে না। যা আপনার স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করে।

যতই ব্যস্ত থাকুন নিজের জন্য সময় রাখুন। নিজেকে ধীরে ধীরে মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। যাতে বিয়ের আগে নিজেকে আপনি নিজের কাছে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন এবং বিয়ের এই সুন্দর মুহূর্তকে নিজের মাঝে ধারণ করুন।

বিয়ের আগে মেয়েদের প্রস্তুতি:
বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই সমস্ত বাইরের কাজ সেরে নেবেন। এই এক সপ্তাহ নিজেকে সময় দিন। শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও প্রস্তুত হতে হবে। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ে মানে বাসস্থানেরও বদল ঘটে। তাই নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা বেশি জরুরি। এর জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে মেডিটেশন করতে পারেন। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিন যতটা সম্ভব। যারা চাকুরিজীবী তারা সম্ভব হলে ছুটি নিন। রিলাক্সে থাকার চেষ্টা করুন।

বিয়ে মানেই বিশাল আয়োজন। আর আয়োজন মানে তো তার জন্য নিতে হবে প্রয়োজনীয় সকল প্রস্তুতি। বিয়ের দিনে প্রধান আকর্ষণ থাকে বর-কনে। তবে কনে কে ঘিরেই থাকে বেশি ব্যস্ততা। তাই বিয়ের আগে কনের প্রস্তুতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। কনের পোশাক থেকে শুরু করে সাজগোজ সবকিছুর প্রস্তুতিই খুব মজবুত ভাবেই নিতে হয়। কারণ সব মেয়েই চায় বিয়ের কনে হিসেবে তাকে খুব সুন্দর আর আকর্ষণীয় লাগুক। তাই বিয়ের অন্তত একমাস আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করা উচিত। বিয়ের জন্য কনের প্রস্তুতি হিসেবে যেসব দিকে নজর দিতে হবে:

কি পরবেন?
বিয়ের সাজের উপাদানে প্রথমে থাকে পোশাক। তাই কি পোশাক পরবেন, কোন রঙের পরবেন, এসব আগে থেকেই ঠিক করে নিন। বাকি সব প্রস্তুতির আগে কেনাকাটা সেরে নিন। সেলাই করার ব্যাপার থাকলে সেগুলো ও সেরে নিন। এমনকি বিয়ের প্রস্তুতিতে ত্বক ও চুলের যত্ন খুব জরুরি। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রসাধনীগুলোও কিনে ফেলুন প্রথমেই। কেনাকাটার পর্ব মিটিয়ে নিজের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি শুরু করুন।

ত্বকের যত্নে করণীয়
বিয়ের সাজে ত্বকের উপর খুব ভারী মেকআপের প্রলেপ দিতে হয়। তার জন্য ত্বককে ভালো রাখা এবং উপযোগী করে তোলা খুব দরকার। তাই প্রয়োজন ত্বকের সঠিক যত্ন নিন। ত্বকে সবারই কমবেশি সমস্যা থাকে। যেমন, ট্যান পড়া, ব্রণ, তৈলাক্ততা, কালো দাগ, রঙের অসামঞ্জস্যতা। এসব দূর করতে বিয়ের আগে দৈনিক নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন। বিভিন্ন ফেসপ্যাক বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজনে পার্লার থেকে ভালো ফেসিয়াল করিয়ে নিতে পারেন। নিয়মিত ত্বক ময়েশ্চারাইজ করুন। রাতে ঘুমানোর আগে হাতে পারে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার রাখবেন সব সময়। ১৫ দিন পর পর পেডিকিওর, ম্যানিকিওর করুন।

বিয়ের আগে সবাই একটু প্রেশারেও থাকে। ফলে অনেকের ঘুম হয় না। আবার নতুন সঙ্গীর সাথে কথা বলতে গিয়েও অনেকে রাত জাগেন। এতে চোখের নিচে কালি পড়ে। যার ফলে মেকআপ অনেক সময় গ্লো করে না। তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। চেষ্টা করবেন টানা আট ঘণ্টা ঘুমানোর। এতে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থেকে যেমন বাঁচবেন তেমনি শরীর ও মন সতেজ থাকবে।

প্রয়োজন চুলের সাজও
বিয়ের সাজের সাথে মানানসই চুলের সাজও আবশ্যক। চুলের ঠিকঠাক সেট করার জন্য প্রচুর হেয়ার স্প্রে আর হিট দেওয়া হয়। তাই চুলের উপর যাতে প্রভাব না পড়ে সেজন্য আগে থেকে চুলকে একটু স্বাস্থ্যকর করে তুলতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন হেয়ার প্যাক, তেল, শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।

সাজগোজের জন্য দরকার ফিটনেস
সাজগোজের সাথে শরীর ফিট রাখাও জরুরি। তাই শরীর ফিট রাখতে বিয়ের অন্তত একমাস আগে থেকে ব্যায়াম করতে পারেন। ওজন কমানো দরকার হলে অবশ্যই তা কমাবেন। সেজন্য ব্যায়ামের পাশাপাশি সঠিক ডায়েট মেনে চলতে হবে। ফিটনেসের জন্য সেভেন ডে চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। শারীরিক ফিটনেসে পানির বিকল্প নেই। এছাড়া যাদের কোনো শারীরিক জটিলতা আছে তারা অবশ্যই ডাক্তার দেখিয়ে নেবেন।

নিতে হবে মানসিক প্রস্তুতি
বিয়ের এক সপ্তাহ আগেই সমস্ত বাইরের কাজ সেরে নেবেন। এই এক সপ্তাহ নিজেকে সময় দিন। শারীরিকভাবে ফিট হওয়ার পাশাপাশি মানসিকভাবেও প্রস্তুত হতে হবে। কারণ মেয়েদের ক্ষেত্রে বিয়ে মানে বাসস্থানেরও বদল ঘটে। তাই নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকাটা বেশি জরুরি। এর জন্য এক সপ্তাহ আগে থেকে মেডিটেশন করতে পারেন। বাইরে বের হওয়া বন্ধ করে দিন যতটা সম্ভব। যারা চাকুরিজীবী তারা সম্ভব হলে ছুটি নিন। রিলাক্সে থাকার চেষ্টা করুন।

ঘরে বসে নিজের শারীরিক যত্ন নিন। বিয়ের এক সপ্তাহ আগে বডি স্পা করিয়ে নিন। তিনদিন আগে ভ্রু প্লাক করিয়ে নিন। আগে থেকে সবরকম প্রস্তুতি সেরে নিলে চিন্তা মুক্ত থাকা যায়। এতে সাজগোজ যেমন পারফেক্ট হয় তেমনি মনও আনন্দে থাকে। প্রয়োজনে পুরো প্রস্তুতির জন্য রুটিন করে নিন। সে অনুযায়ী নিজেকে প্রস্তুত করুন।