আধুনিক সময়ে বিয়ের অবিচ্ছেদ্য ও অত্যন্ত জরুরি বিষয় হলো ফটোগ্রাফি। বিয়ের সময়ের স্মৃতিটুকু ফ্রেমবন্দি করে রাখতেই এই আয়োজন। বিশেষ করে বর ও কনের ছবি তোলা ও সেটাকে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়াটা ভীষণ জরুরি। জরুরি বিয়েতে কারা কারা অংশ নিলো এবং শুভেচ্ছা জানাতে আসলো তাদের সঙ্গে স্মৃতি ধরে রাখাটাও। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো বিয়ের দিনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত যেন বিষয়টি অবহেলিতই রয়ে যায়। অথচ বিয়ের অনুষ্ঠান যখন শেষ হবে তখন এই ছবিগুলোই ফিরিয়ে দিবে আপনার সেই বিশেষ মুহূর্তগুলোকে যা রয়ে যাবে আজীবন স্মৃতির পাতায়। আর সেগুলো ফ্রেমবন্দি করে স্মৃতির পাতায় স্থায়ীভাবে স্থান দিতে ওয়েডিং বার্ডের রয়েছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ একঝাক ফটোগ্রাফার। যারা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বিয়েসহ বিভিন্ন আয়োজনে অত্যন্ত যত্ন ও পেশাদারিত্বের সাথে অর্ধযুগের বেশি সময় ধরে ছবি তুলে আসছে।
ওয়েডিং ফটোগ্রাফিকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করা যায়। প্রি-ওয়েডিং, ওয়েডিং ও পোস্ট ওয়েডিং।
এক্ষেত্রে বিয়ের দিন ছবি তোলাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানেই অনেক সময় অবহেলা ও দেরি করার কারণে ভালো কিছু মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করে রাখতে হিমশিম খেতে হয়।
সাধারণত বিয়ের দাওয়াপ্রাপ্ত অতিথিরা সন্ধ্যা ৭টা থেকে আসতে শুরু করেন। সেক্ষেত্রে কনে যদি তার সাজগোজ শেষ করে ৬টার মধ্যে ভেন্যুতে চলে আসে তাহলে ছবি তোলাটা সহজ হয়। অন্যদিকে বর আসতে আসতে ৮টা/৯টা বেজে যায়। সে সময় উভয় পক্ষের অতিথিদের আগমনে ভেন্যু গিজ গিজ করে। নিরিবিল ও একাকি বর ও কনের ছবি তোলাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে বর যদি একটু কষ্ট করে ৬টার দিকে একবার ভেন্যুতে এসে কনের সঙ্গে ছবি তুলে যায় তাহলে দারুণ কিছু মুহূর্ত ধারনা করা যায় অন্যদের গ্যাদারিং এড়িয়ে। হয়তো বরের একটু কষ্ট হবে কিন্তু বিয়ের ভালে কিছু স্মৃতি ও ছবি পাওয়ার জন্য একটু কষ্ট তো করতেই হবে নাকি?
অনেকে প্রি-ওয়েডিং এর ছবি তুলে থাকেন। তুলে থাকেন পোস্ট ওয়েডিং এর ছবিও। প্রি ও পোস্ট ওয়েডিং এর ছবি আউটডোরে সবচেয়ে ভালো হয়। এক্ষেত্রে যেখানে বিয়ে হবে সেই এলাকা কিংবা অঞ্চলের ভালো কিছু স্পট, ভেন্যু বাছাই করে আউটডোরে ছবি তোলা বেটার। হতে পারে কোনো পার্ক, হতে পারে নদীর তীরে, খোলা প্রান্তরে, বিচে, কিংবা নৈস্বর্গিক সুন্দর কোনো প্রকৃতির মাঝে।
এগুলোর জন্য আপনারা গুগুল মামার সহযোগিতা নিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্নি ফটোগ্রাফি প্যাকেজের জন্য যোগাযোগ করুন ওয়েডিং বার্ডে।